এনআইডি যাচাইয়ের নতুন গেটওয়ে “পরিচয়”

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখ উদ্বোধন করলেন “porichoy” নামক নতুন গেটওয়ে। porichoy নামক নতুন গেটওয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন নাগরিকের তথ্য যাচাই করতে চাইলে http://www.porichoy.gov.bd ঠিকানা ব্যবহার করে তা করতে পারবে।

এনআইডি যাচাই সেবা প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন

জাতীয় পরিচয়পত্র যা এনআইডি কার্ড নামে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত এনআইডি কার্ড সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের জন্য এই গেটওয়ে ব্যবহার করা যাবে। তবে এজন্য প্রথমে ইউজার হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। ইউজার নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজন হবে কয়েকটি তথ্য। আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর। প্রতি মাসে আনুমানিক কতটি তথ্য যাচাই করার প্রয়োজন হতে পারে তার তথ্য। প্রয়োজন হবে ই-মেইল এড্রেস, কোম্পানীর নাম এবং কোম্পানীতে আবেদনকারীর পদবী। এছাড়া বর্তমানে কি পদ্ধতিতে এনআইডি যাচাই করা হচ্ছে, প্রদান করতে হবে সেসব তথ্যাদি।

এসব তথ্য দিয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধন দেয়া হবে এবং একটি ইউজার ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রদানকৃত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে ব্যবহার করা যাবে পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই সুবিধা। তবে পরিচয়পত্র যাচাই সেবা ব্যবহার করার জন্য পরিশোধ করতে হবে সরকার নির্ধারিত ফি।

ব্যবহার যোগ্যতা

যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োজিত থাকে তাদের পরিচয় সম্পর্কে যাতে নিশ্চিত হওয়া যায়। কেউ যাতে ফেক বা জাল এনআইডি কার্ড দিয়ে কোন অসৎ উদ্যেশ্য হাসিল করতে না পারে। সঠিক ব্যক্তি যাতে দ্রুততম সময়ে সঠিক সেবা পেতে পারে, সেজন্যই সরকারের এ উদ্যোগ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন ৯০ শতাংশ সরকারী সেবা মোবাইলেই পাওয়া যাবে।

কল-কারখানা, ব্যবসা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ এবং গ্রাহক পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য এটি খুবই কাজে আসবে। বাসায় কাজের লোক, গার্ড, ড্রাইভার নিয়োগের পূর্বে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমনকি ভাড়াটিয়া, প্রাইভেট টিউটর বা পাত্র-প্রাত্রী সম্পর্কে খোজ-খবর নিতেও এটি বেশ কাজে আসবে। এতে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে উধাও হয়ে যেতে পারবে না।

এনআইডি যাচাইয়ের সুবিধা

সবাই সচেতন হয়ে এর সফল প্রয়োগ করলে জাল আ ভুয়া এনআইডি কার্ড ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে। এটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। পরিচিতি সনাক্তকরণে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে সূচিত হলো।

এর ফলে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিশাল তথ্য ভান্ডারের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হবে।