১০/১৩/১৭ সংখ্যার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বিভ্রান্তি!!!

কেন পরিচয়পত্র নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি?

২০০৭ সালে নির্বাচন কমিশন যখন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান শুরু করে তখন জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হতো ১৩ সংখ্যার নম্বর দিয়ে। ২০১১ সালে কয়েকটি কারণে ১৩ সংখ্যার এনআইডি নম্বরের পূর্বে ৪ সংখ্যার জন্মসাল বসিয়ে ১৭ সংখ্যার নম্বর জেনারেট করে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর সম্বলিত আইডি কার্ড প্রদান করা শুরু করে। একইসাথে বিদ্যমান ১৩ সংখ্যার আইডি নম্বরধারী কারো কার্ড হারানো/সংশোধনের কারণে প্রতিস্থাপন করলে ১৩ সংখ্যার পরিবর্তে মূদ্রিত হতো ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর সম্বলিত জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু যখন থেকে স্মার্ট কার্ড প্রদান শুরু হয় তখন এই পুরো নম্বর পরিবর্তন করে নতুন এলগোরিদম ব্যবহার করে ১০ সংখ্যার ইউনিক আইডি নম্বর দিয়ে কার্ড প্রদান শুরু করা হয় যা এখন যে কোন প্লাস্টিক লেমিনেটেড কার্ড এ ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য জনমনে বিভ্রান্তি জাগে ১০/১৩ নাকি ১৭ কত সংখ্যার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সঠিক। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনটি গ্রহণযোগ্য এটি অনেক সময় প্রশ্ন হয়ে দাড়ায়।

এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তির নিরসন

এখন হারানো/সংশোধন/ কিংবা যে কোন কার্ড নতুন মূদ্রণ হলেই ১০ সংখ্যার ইউনিক আইডি নম্বর সম্বলিত এনআইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। তবে যাদের নিকট ১৩/১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর সম্বলিত কার্ড রয়েছে তাদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। যে কোন নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই নির্বাচন কমিশনের সার্ভার হয়ে ঐ ব্যক্তির তথ্যই আসবে। সকল ক্ষেত্রেই সর্বশেষ সংশোধিত তথ্য প্রদর্শিত হবে যা ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে ।

সমস্যা দেখা দিলে করনীয়

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ১০ সংখ্যার নম্বর সম্বলিত কার্ড প্রদান করলে অনেকে পাওয়া যায় না বলে থাকে। এক্ষেত্রে ১৭ সংখ্যার নম্বরটি দিলেই ব্যক্তির একই তথ্য পাওয়া যাবে।