জাতীয় পরিচয়পত্র প্রান্তির জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লোগো - Bangladesh Election Commission Logo Png,  Transparent Png - 1024x1024(#436849) - PngFind

ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হলে তিনিই পান জাতীয় পরিচয়পত্র/এনআইডি কার্ড। আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হন এবং বয়স হয় ১৮ বছর বা তার বেশী তাহলে আপনি নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন। আপনি যে এলাকায় সচরাচর বসবাস করেন সেই এলাকার নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে যেতে হবে কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে।

প্রথমত আপনি বাংলাদেশের নাগরিক তা প্রমান করতে আপনাকে নিতে হবে নাগরিক সনদপত্র, যা প্রদান করে ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন।আপনার বাসা/বাড়ী যদি হয় ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে তাহলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে নিতে পারবেন এই নাগরিক সনদপত্র আর যদি আপনার আবাসস্থল হয় পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত তাহলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হতে নিতে পারবেন এই নাগরিক সনদ। এছাড়া বয়স প্রমানের জন্য নিতে হবে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র, যা আপনার আগে থেকে না থাকলে এটাও নিতে পারবেন ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন হতে। আপনার পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি শিক্ষা সনদও নিতে হবে। আপনার আবাসস্থল এর একটি ইউটিলিটি বিল (পানি/বিদ্যুৎ/গ্যাস/টেলিফোন) কপি এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের কপিও সাথে নিতে হবে। এছাড়া আপনাকে নিতে হবে বাবা-মা এবং স্বামী/স্ত্রী (যদি থাকে) এর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

উপরোক্ত কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি নিয়ে আপনাকে একটি ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ পূরণ করতে হবে এবং সাথে ফরম-১১ অনুযায়ী ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে নিবন্ধন কর্মকর্তা বরাবর।

নিবন্ধন কর্মকর্তা আপনার কাগজপত্র সঠিক থাকলে আপনার বায়োমেট্রিকসহ ডাটা এন্ট্রি করার জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে নির্দেশ প্রদান করবেন। তবে আপনার ঠিকানা এবং নাগরিকত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আপনার এলাকায় তদন্ত করে আপনার ডাটা কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করবেন। কেন্দ্রীয় সার্ভারে ডাটা আপলোড সম্পন্ন হলে আপনার বায়োমেট্রিক যাচাই করা হবে বিদ্যমান সকল ভোটারের সাথে। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে যদি ডুপ্লিকেট নয় মর্মে ভেরিফাইড হন তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হিসেবে তালিকাভূক্ত হবেন এবং পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র।

প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচীতে তথ্য সংগ্রহকারীকে তথ্য প্রদান করে এবং নিবন্ধন কেন্দ্রে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোটার হওয়া ছাড়াও উপরোক্ত নিয়মে সারাবছরব্যাপী ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে নির্বাচন অফিস সমূহে।

তবে উল্লেখ্য যে, কোন নির্বাচন এর তফসিল হলে সে সময় হতে নির্বাচন অবধি কোন নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির জন্য নিবন্ধন বন্ধ থাকে।