এনআইডি ফি এখন বিকাশে

অনলাইনে এনআইডি সেবার আবেদন করার প্রক্রিয়া জানলেও অনেকেই জানেন না, কিভাবে এবং কোথায় জমা দেয়া যায় এনআইডি সেবার জন্য এর আবেদন ফি। ফলে অনেকেই পূর্বে প্রচলিত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে পড়েন বিপাকে। এনআইডি সার্ভিসের জন্য ফি জমা দেয়া এখন অনেক সহজ। ফি জমা দেয়ার জন্য এখন আর প্রয়োজন নেই ব্যাংকের লম্বা লাইনে দাড়ানোর বা মোবাইলে টাকা পাঠানোর এজেন্টদের দোকানে গিয়ে ভিড় করা। সম্প্রতি বহুল প্রচলিত বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে এনআইডি সেবার আবেদন ফি জমা দেয়ার বিষয়টি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন এর এনআইডি অনুবিভাগ। এর ফলে এনআইডি সার্ভিসের বিভিন্ন ফি জমা দেয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ হলো।

ইতোপূর্বে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এর অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম হতে এনআইডি সেবার ফি জমা দেয়া যেত। এছাড়া রকেট, টি-ক্যাশ, ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও ফি জমা দেয়া যেত। এখন এসব অনলাইন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম এর সাথে যুক্ত হলো জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম বিকাশ। সম্প্রতি বিকাশ এর মাধ্যমে এনআইডি ফি পরিশোধের ব্যবস্থা চালু করলো নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে নাগরিকগন এখন আরো সহজে এবং স্বাচ্ছন্দে জমা দিতে পারবেন এনআইডি ফি। অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পাশাপাশি এর ফি জমা দেয়া সহজীকরণ ছিল আবেদনকারীদের অন্যতম চাহিদা। ফি জমা সহজে এবং ঘরে বসে না দিতে পারলে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় না ফলে আবার দারস্থ হতে হয় বাইরের এজেন্টদের। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই বহুদিন ধরে প্রক্রিয়ায় ছিল “বিকাশ” এ্যাপ এর মাধ্যমে এনআইডি’র আবেদন ফি জমা দেয়ার কাজ।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লোগো - Bangladesh Election Commission Logo Png,  Transparent Png - 1024x1024(#436849) - PngFind

যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন তারা আগে থেকে বিকাশ ব্যবহার করলে অথবা গুগল প্লে স্টোর হতে বিকাশ মোবাইল এ্যাপস ডাউনলোড করে নিজেই পেমেন্ট করতে পারবেন এনআইডি ফি; যে কোন সময়। বিকাশ এর “পে-বিল” অপশনে গেলে এর অল অর্গানাইজেশন লিস্টের শুরুতেই পেয়ে যাবেন নির্বাচন কমিশনের লোগো প্রদর্শিত “এনআইডি সার্ভিস” নামের একটি অপশন। সেখানে ঢুকলে প্রথমে একটি ড্রপ ডাউন লিস্ট পাবেন যেখান থেকে এপ্লিকেশন টাইপ সিলেক্ট করে নিতে হবে।

এনআইডি’র তথ্য (এনআইডি কার্ডে প্রদর্শিত তথ্য) সংশোধনের প্রয়োজন হলে “NID Info Correction” এই লিস্ট হতে বাছাই করতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ব্যতীত ডাটাবেইজে রক্ষিত অন্যান্য তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে “Other Info Correction” এই লিস্ট হতে বাছাই করতে হবে।

এনআইডি’র তথ্য এবং এনআইডি’র তথ্যের বাইরে অন্যান্য তথ্য একইসাথে সংশোধনের প্রয়োজন হলে “Both Info Correction” এই লিস্ট হতে বাছাই করতে হবে।

হারানো কার্ড এর ডুপ্লিকেট কপি সাধারণ সময়ে (৩০ কার্য দিবসের মধ্যে) পেতে চাইলে “Duplicate Regular” এই লিস্ট হতে বাছাই করতে হবে।

হারানো কার্ড এর ডুপ্লিকেট কপি জরুরী (১০ কার্য দিবসের মধ্যে) উত্তোলনের প্রয়োজন হলে “Duplicate Urgent” এই লিস্ট হতে বাছাই করতে হবে।

এর পর তার নিচের ঘরে ১০/১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বরটি লিখে নিচের “Proceed to pay” অপশন সিলেক্ট করতে হবে। Proceed to pay অপশনে গেলে এনআইডি সিস্টেম হতে আপনার কাঙ্খিত সেবার জন্য ফি জমার জন্য কত টাকা প্রয়োজন হবে তা গননা করে দেখাবে। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলে এবং ফি জমা নিশ্চিত করার জন্য সাবমিট করলে লেনদেন এর তথ্য এনআইডি সিস্টেমে চলে যাবে। ফি জমা সম্পন্ন হলে একটি ফিরতি এসএমএস এ ট্রানজ্যাকশন আইডি ও ফি জমার বিবরণী চলে আসবে।

এনআইডি সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফি জমা হয় বিধায় এর আর কোন প্রমানপত্র/স্লিপ জমা দিতে হয় না। ফি জমা নিশ্চিত হলে অতপর আবেদন সাবমিট করা যায়।