NID অনলাইন সেবার আদ্যোপান্ত

কি কি সেবা পাওয়া যায় এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে

  • নতুন ভোটার নিবন্ধন (১৮+ বয়সী ভোটারযোগ‍্য বাংলাদেশীদের)
  • নতুন পরিচয় নিবন্ধন (১৮ বছরের নিচের বাংলাদেশী নাগরিকদের)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন (নতুন ভোটার/পরিচয় নিবন্ধিতদের)
  • হারানো/নষ্ট/স্থানান্তর জনিত কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু/ডুপ্লিকেট ইস্যু
  • জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন (পরিচয়পত্রে প্রদর্শিত তথ্য)
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যতীত ডাটাবেইজে রক্ষিত অন্যান্য তথ্য সংশোধন/সংযোজন/হালনাগাদকরণ
  • স্মার্ট এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন/আপডেট

কাদের জন্য এই Online NID সেবা?

শুধু নতুন কার্ড প্রাপ্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা তথ্য-উপাত্ত সংশোধন, হারানো/ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি সংক্রান্ত কাজেই নয় এনআইডি/ভোটার নিবন্ধন করেছেন এমন সকল বাংলাদেশী নাগরিকদেরই প্রয়োজন এই এনআইডি অনলাইন সার্ভিস। কারণ এনআইডি কার্ড রয়েছে বা এনআইডি’র জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা কি কখনও দেখেছেন এনআইডি তথ্য ভান্ডারে আপনার তথ্যাবলী পুরোপুরি নির্ভুল বা আপডেটেড আছে কিনা?

প্রেক্ষাপট

ভোটার বা এনআইডি নিবন্ধনের সময় তথ্য সংগ্রহকারী আপনার তথ্য যেভাবে লিপিবদ্ধ করেছে ডাটা এন্ট্রি করেছে ভিন্ন ব্যক্তি তাই ফরমে প্রদত্ত তথ্য শতভাগ সঠিকভাবে এন্ট্রি করা হয়েছে বা কোন তথ্য ভুল হয়নি এমন নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। তাই এনআইডি সিস্টেমে তথ্য কিভাবে রয়েছে এবং বিদ্যমান তথ্য-উপাত্তে কোন আপডেট করতে হবে কিনা তা দেখতে সকল নিবন্ধিত নাগরিকগনেরই উচিত এনআইডি সিস্টেমে নিবন্ধন করে তার তথ্যাদি দেখে নেয়া। এছাড়া অনেক বছর আগে প্রদত্ত তথ্য আজকের সময়ানুযায়ী প্রয়োজন হতে পারে আপডেট করে নেয়ার। অনেকেই যখন নিবন্ধন করেছেন তখন পেশায় হয়তো ছিলেন ছাত্র কিন্তু আজ হয়তো আপনি অন্য কোন পেশাজীবী। আবার আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল SSC/HSC কিন্তু আজ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন কিন্তু আপনি আপডেট না চাইলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়ে যাবে আগেরটাই। এছাড়া অনেক সময় তথ্য সংগ্রহকারী ফরম পূরণের সময়ই ভুল করেছেন যা আপনি হয়তো যাচাই না করেই স্বাক্ষর করে দিয়েছিলেন। এছাড়া আপনার সেই সময়ের ছবির সাথে বর্তমান আপনার ছবির কোন মিলই নাই বা আগে যেভাবে স্বাক্ষর করেছিলেন এখন পেশাগত জীবনে আপনার স্বাক্ষর চেঞ্জ করেছেন কিন্তু আপনার কার্ডের সাথে তা আমূল পরিবর্তন হয়ে আছে যা কখনও আপনি এভাবে ভেবেই দেখেননি। এছাড়া অনেকেরই ঠিকানা রয়েছে পুরানো। তাই এখন সময় আপনার তথ্য যাচাই করে তা নির্ভুল এবং হালনাগাদ করার ব্যবস্থা করা।

এছাড়া বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির জন্য এনআইডি সিস্টেমে নিবন্ধন করে NID সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ এবং বিভিন্ন আবেদন ট্র্যাক করতে পারবেন। পারেন ১০+ বছরের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন (তবে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদের নাম ভোটার তালিকায় প্রকাশিত হবে না যা নির্বাচন কমিশন সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছে)।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জনগনকে জরুরী সেবা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন এনআইডি অনলাইন সেবায় এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আবেদন জমা হতে শুরু করে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়া, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন, পরিচয় নিবন্ধনের পর জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রাপ্তি সবই করা যাবে ঘরে বসে অনলাইনে।

জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভান্ডার হতে নিজের সমূদয় তথ্যাবলী দেখা, কার্ড হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় উত্তোলন এসবের জন্য আর দারস্থ হতে হয়না নির্বাচন অফিসের। এনআইডি কার্ড বা ডাটাবেজের তথ্যে কোন তথ্য আপডেট বা ভুল সংশোধন, ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন সবই এখন অনলাইনে https://services.nidw.gov.bd/ এই পোর্টাল হতে আবেদন সাবমিট করে তা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর কার্ড ডাউনলোড অপশন হতে কার্ডের ডাউনলোডেবল পিডিএফ কপি পাওয়া যায় অনলাইন পোর্টাল হতে।

যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তারা সংশোধন/ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা নতুন নিবন্ধনের জন্য এনআইডি অন-লাইন সিস্টেম হতেই আবেদন করতে পারবেন, যারা ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন কিন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বা এনআইডি কার্ড পাননি, তারা এনআইডি অনলাইন সার্ভিসের জন্য এনআইডি পোর্টালে রেজিস্টার অতপর লগইন করে ডাউনলোড অপশন হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনামূল্যে।

এছাড়া পূর্বে যাদের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংশোধনের আবেদন জমা দেয়া আছে, তার হাল অবস্থা জানা যাবে এই অনলাইন সেবার মাধ্যমে। এমনকি যারা কখনও এনআইডি সংক্রান্ত কোন সার্ভিসের জন্য ইতোপূর্বে আবেদন করেননি তাদের ডাটাবেজের তথ্য কিভাবে আছে তা দেখে নিতে পারেন এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে রেজিস্টার করে। এছাড়া কোন তথ্য আপডেট করতে হলে তাও এখন সম্ভব ঘরে বসে অনলাইন এনআইডি সার্ভিসের আওতায়।

এনআইডি অনলাইন সেবাকে বিশ্ব মানের উল্লেখ করে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং টেলিভিশনে এই সার্ভিসের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন। ইতোপূর্বে দাখিলকৃত সংশোধনের আবেদন এবং নতুন অনলাইন আবেদন সবই দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তির কাজ চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতেও এনআইডি’র কর্মকর্তারা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এনআইডি সেবা আরো দ্রুত দেয়ার জন্য নতুনভাবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রদান করেছেন তার আওতাধীন এলাকার আবেদন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে। এখন হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র ডুপ্লিকেট ইস্যুর আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার অনুমোদন করতে পারেন। এছাড়া “ক” ক্যাটাগরীর সাধারণ ভুল সংশোধনের আবেদনও অনুমোদন করতে পারেন উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারগণ, “খ” ক্যাটাগরীর কিছুটা জটিল ভুল সংশোধনের আবেদন অনুমোদন করতে পারেন জেলা নির্বাচন অফিসারগণ, “গ” ক্যাটাগরীর অপেক্ষাকৃত জটিল ভুল সংশোধনের আবেদন অনুমোদন করতে পারেন আঞ্চলিক (বিভাগীয়) পর্যায়ের নির্বাচন অফিসারগণ আর খুবই জটিল প্রকৃতির সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তার পরিচালকগণের সহায়তায়। তবে সংশোধনের কোন আবেদন জমা হলে তা কোন ক্যাটাগরীভুক্ত হবে তা নিধৃআরণ করে থাকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রতিটি অঞ্চলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এনআইডি সার্ভিস পুরোপুরি পেপারলেস সার্ভিসে পরিনত করেছেন এনআইডি অনুবিভাগ। এই পদ্ধতিতে অনেক সুফলও পাওয়া যাচ্ছে, যা অনেকেই এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে রেজিস্টার করলে তার আবেদনের হাল অবস্থায় দেখতে পাবেন। এছাড়া ইতোপূর্বে কাগুজে ফরমে আবেদন করে নতুন নিবন্ধন, কার্ড রি-ইস্যু, এনআইডি কার্ড/তথ্য উপাত্ত সংশোধন এর আবেদন জমা করার দরজাও এখন পুরোপুরি বন্ধ করে নতুন অনলাইন জগতে প্রবেশ করেছে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগ।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এনআইডি সিস্টেমকে সুতিকাগার বললে ভুল হবে না একটুও। এনআইডি সেবা পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এগিয়ে গেল আরো কয়েক ধাপ। কারণ এনআইডি সিস্টেম এর তথ্য ব্যবহার করে সরকারী কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পেনশন প্রদান, মোবাইল সিম প্রদান, ব্যাংক হিসাব পরিচালনা, চাকরীর বয়স যাচাই, আয়কর সনদ প্রদান এমনকি মহামারী করোনা বা কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সেবায় এসেছে অভাবনীয় সাফল্য।

এনআইডি অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ায় সময়-অর্থ-শ্রম এবং বিভিন্ন জটিলতা নিরসন হয়েছে। আগে যেখানে অনলাইনে আবেদন করলেও আবার প্রথাগত সিস্টেমে হার্ডকপি নিয়ে অফিসে যেতে হতো এখন সেকেলে সিস্টেম পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এনআইডি’র অনলাইন সেবায় জালিয়াতি রোধকল্পে এনআইডি কর্তৃপক্ষ মোবাইল এ্যাপস তৈরী করেছে যার লিংক দেয়া আঝে এনআইডি’র ওয়েব সাইটে। এ্যাপসটির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনকারীর ছবি না মিললে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হয় না।

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য পরিচয়/ভোটার নিবন্ধনঃ

নতুন পরিচয় নিবন্ধনের জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account লিংক এ গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। অতপর সহজতর কয়েকটি ধাপ অনুসরন করে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য প্রদান করে একটি ফর্ম পূরণ করে তার কপি ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট নিয়ে প্রিন্টেড কপির ২য় পাতায় কোন একজন ভোটারকে শনাক্তকারী (বাবা-মা-ভাই-বোন বা পরিচিত যে কেউ হতে পারে শনাক্তকারী) এবং যাচাইকারী হিসেবে স্থানীয় চেয়ারম্যান/কাউন্সিলরের এনআইডি নম্বরসহ সীল ও স্বাক্ষর নিতে হবে।

এছাড়া ফরমের সাথে নিয়ে যেতে হবে নাগরিকত্য, বয়স ও ঠিকানা প্রমানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।

উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস আবেদনকৃত নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙ্গুলের ছাপ প্রদান, ছবি, আইরিশ স্ক্যান এবং ডিজিটাল সিগনেচার প্যাড এ স্বাক্ষর) গ্রহণ করার জন্য সিডিউলড তারিখে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে এসএমএস পাঠাবে। যদি অনলাইনে আবেদন করার পর সিডিউল দিয়ে এসএমএস না আসে বা বেশী দিন দেরী হয় তাহলে প্রযোজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হতে পারে।

নিবন্ধন কার্য সম্পন্ন হওয়ার পর বায়োমেট্রিক ম্যাচিং এর জন্য নিবন্ধনের তথ্য প্রেরণ করা হবে নির্বাচন কমিশনের সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ সার্ভারে।

সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ম্যাচিং-এ যদি ডাটাবেজে বিদ্যমান অন্যান্য নাগরিকদের সাথে বায়োমেট্রিক ম্যাচিং করে নো-ম্যাচ বা OK থাকলে অর্থাৎ ডুপ্লিকেট শনাক্ত না হলে নিবন্ধিত নাগরিকের জন্য প্রস্তুত হবে এনআইডি।

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রাপ্তিঃ

যারা নিবন্ধন হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি পেতে অন্যান্য তথ্য মেন্যুর এনআইডি তথ্য সাবমেনু হতে অথবা https://services.nidw.gov.bd/nid_info লিংক হতে তাদের ফরম নম্বর (আপনার কাছে রক্ষিত রশিদ) এবং আপনার জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা প্রদানের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি জেনে নিন। অত:পর  “রেজিস্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)।

এরপর “লগইন” মেনুতে গিয়ে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে “ডাউনলোড” মেনু হতে আপনার পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। ১ম বার ডাউনলোড এর ক্ষেত্রে ফি প্রযোজ্য হবে না। তবে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড করার অপশন আসবে না। এজন্য কার্ড প্রিন্টের জন্য ডাউনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে পরবর্তীতেও কাজে লাগানো যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র/বিদ্যমান তথ্য-উপাত্ত সংশোধন/হালনাগাদ

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যগত ভুল সংশোধন বা ডাটাবেইজে রক্ষিত বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত আপডেট করতে https://services.nidw.gov.bd/ লিংকের “রেজিস্টার” মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। পরবর্তীতে “লগইন” মেনুতে গিয়ে প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করে প্রোফাইল অপশন হতে যেসব তথ্য সংশোধন প্রয়োজন তা এডিট করে সাবমিট করুন।

পরিচয়পত্র বা ডাটাবেইজে সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত সংশোধন/আপডেট এর আবেদন সাবমিট করার পূর্বে প্রযোজ্য সরকারি ফি নির্ধারিত মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা ডাটাবেইজের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট স্ক্যান করে সংযুক্ত করে সাবমিট করার পর সংশোধনের আবেদন এনআইডি অথরিটি কর্তৃক অনুমোদন হলেই কেবল তা “ডাউনলোড” অপশন হতে আপনার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড করার অপশন আসবে না। এজন্য ডাউনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে দিতে পারেন। তবে পরবর্তী তথ্য আপডেট করা হলে আগের কপিটি আর সচল থাকবে না।

হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পুন:উত্তোলন/রি-ইস্যু

জাতীয় পরিচয়পত্রটি কোন কারণে হারিয়ে/নষ্ট হয়ে গেলে তা পুন:প্রাপ্তির জন্য প্রথমেই  “রেজিষ্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। পরবর্তীতে  “লগইন” মেনুতে গিয়ে আপনার ইউজার আইডি (NID) পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করুন। লগইন করার পর “রি-ইস্যু” অপশন হতে পুন:মূদ্রনের কারণ নির্বাচন করে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ প্রদান করে পরবর্তী ধাপে গিয়ে বিতরণের ধরন হতে Urgent/Regular যে কোন একটি নির্বাচন করে সাবমিট করুন।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এই সেবার জন্য প্রযোজ্য সরকারি ফি আপনাকে আবেদন সাবমিট করার পূর্বেই নির্ধারিত মোবাইল/অন-লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। কার্ড রি-ইস্যুর জন্য পুন:মূদ্রনের ধরন অনুযায়ী ফি নির্ধারিত হবে কারণ রেগুলার বা সাধারণ আবেদনের (৩০ কার্য দিবসে প্রাপ্তব্য) ফি এর থেকে জরুরী আবেদনের ফি (সাত কার্য দিবসে প্রাপ্তব্য) বেশী।

তবে এখনই রেগুলার স্মার্ট কার্ড এর জন্য অনলাইনের আবেদন করলেও আপাতত কাগজের কার্ডটিই গ্রহণ করতে হবে। তবে ভবিষ্যতে অনলাইনে আবেদনকারীদের স্মার্ট কার্ড দেয়া শুরু হবে যা কেবল অফিস হতে বা কোন পার্শেল সার্ভিসের মাধ্যমে দেয়ার ব্যবস্থা রাখার (এজন্য আলাদা ডাক মাশুল জমা দিতে হবে) ব্যাপারটি বিবেচনাধীন রয়েছে। সংশোধনের আবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর তা “ডাউনলোড” অপশন হতে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করা যাবে।

উল্লেখ্য যে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড অপশন আসবে না। এজন্য মূদ্রণের জন্য ডা‌উনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে দিতে পারেন।

ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা স্থানান্তর:

এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় ঠিকানা পরিবর্তন/মাইগ্রেশনের জন্য আগে ফরম-১৩ পূরণ করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে (স্থানারের আবেদন অনলাইনে করার সিস্টেমটি এখনও চালু হয়নি তবে অচিরেই এটিও অনলাইনে করার অপশন পাওয়া যাবে)। স্থানান্তর এর আবেদনের কোন ফি নাই, এই সেবাটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

ভোটার এলাকা স্থানান্তর/মাইগ্রেশন জনিত কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু:

ভোটার স্থানান্তরের আবেদন অনুমোদন হওয়ার পরেই অনলাইনে কার্ড “রি-ইস্যু” এর আবেদন সাবমিট করলে পরিবর্তিত ঠিকানার এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে। তবে কার্ড “রি-ইস্যু” করতে চাইলে এর আবেদনের সাথে ফি প্রদান করতে হবে।

বাসা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন জনিত কারণে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন ঠিকানা মূদ্রিত কার্ড নিতে হলে  “রেজিস্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে এনআইডি অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। এনআইডি অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে পরবর্তীতে  “লগইন” মেনুতে গিয়ে ইতোপুর্বে ইউজার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর “রি-ইস্যু” অপশন হতে পুন:মূদ্রনের কারণ হিসেবে “নষ্ট হয়ে গেছে” নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে গিয়ে বিতরণের ধরন হতে Urgent/Regular যে কোন একটি সিলেক্ট করে সাবমিট করুন। অথবা “প্রোফাইল” অপশন হতে ঠিকানার সংশ্লিষ্ট ফিল্ডসমূহের প্রয়োজনীয় এডিট করে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে সাবমিট করতে হবে।

এনআইডি কার্ড রি-ইস্যুর জন্য আবেদন সাবমিট করার পূর্বেই প্রযোজ্য সরকারি ফি নির্ধারিত মোবাইল/অন-লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। আবেদনটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর তা “ডাউনলোড” অপশন হতে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করা যাবে।

তবে বর্তমান ঠিকানার ভোটার এলাকা ঠিক থাকলে ঠিকানার অন্যান্য তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে ফরম-১৩ পূরণ করে মাইগ্রেশন করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে “প্রোফাইল” অপশন হতে ঠিকানার প্রয়োজনীয় তথ্য (ভোটার এলাকা ব্যতীত) এডিট করে সংশোধনের আবেদন হিসেবে সাবমিট করলে ঠিকানা সংশোধন হবে।

এনআইডি অনলাইন সেবা গ্রহণের জন্য আরো পরিষ্কার ধারনা পেতে চাইলে এবং গ্রাফিক্যাল ধাপ সমুহ দেখতে নিচের ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন-

221 Replies to “NID অনলাইন সেবার আদ্যোপান্ত”

  1. Dear Recipient,

    I have an issue regarding the smart card i have received previously. In the card there was typo in my mother Bengali name. I have checked my info through registration, found all are okay online. like-
    তাহহমিনা আক্তার(smart nid)
    তাহমিনা আক্তার(online- this is correct)

    In that case what should i have to done to resolve the issue. If i am going for a re-issue, will i get the smart nid again or not? FYI, I would like to add my blood group in the nid.
    It would be great if you do suggest based on the above circumstances.
    Regards,
    Tariq

    1. আপনি সংশোধনের আবেদন করলে আপাতত আপনার তথ্য সংশোধন হবে এবং আপনি একটি পেপার লেমিনেটেড কার্ড পাবেন। স্মার্ট কার্ড পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

  2. Awesome blog! Do you have any suggestions for aspiring writers?
    I’m hoping to start my own site soon but I’m a little lost on everything.
    Would you recommend starting with a free platform like WordPress or go for a paid option? There are so many options out there that I’m completely overwhelmed ..
    Any ideas? Many thanks! 0mniartist asmr

  3. আমার এন আই ডি কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় অনলাইনে রিইস্যু করি এবং সেটা সফল হয়েছে। আমাকে আবেদন জমা কৃত অফিস থেকে কার্ডটি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি তো অনলাইনে আবেদন করেছিলাম, এখন কার্ডটি কোথা থেকে সংগ্রহ করবো?

    1. অনলাইন পোর্টালের ডাইনলোড অপশন হতেই করতে পারেবেন। না পারলে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস হতে পাবেন। যেটি আগে হবে সেটিই কার্যকর।

  4. Attractive element of content. I just stumbled upon your blog
    and in accession capital to assert that I get in fact loved account your blog posts.
    Anyway I will be subscribing for your feeds or even I achievement you get admission to persistently fast.
    asmr 0mniartist

  5. Hey! Someone in my Facebook group shared this
    site with us so I came to take a look. I’m definitely enjoying
    the information. I’m book-marking and will be tweeting
    this to my followers! Wonderful blog and excellent design.

    Also visit my web page – marijuana gumies

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *