এনআইডি’র প্রয়োজনীয়তা
সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সেবায় অত্যাবশ্যকীয়ভাবে প্রয়োজন হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। এই মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য ডকুমেন্ট হিসেবে সকলেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডকে বিবেচনা করে থাকেন। পাসপোর্ট-ভিসা, চাকরি, বিবাহ/তালাক রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি, ব্যাংক হিসাব খোলা, সঞ্চয়পত্র ক্রয়, টিআইএন সনদ প্রাপ্তি, মোবাইল সিম ক্রয়, কর্মচারী নিয়োগ, বেতন/পেনশন গ্রহণ, কোভিড-১৯ (করোনার) ভ্যাক্সিন এর নিবন্ধন, সরকারী বিভিন্ন অনুদান/ভর্তুকি গ্রহণসহ বিভিন্ন জরুরী সেবায় এর প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। এজন্য সকল নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। এনআইডি’র আইনে সকল নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিধান করে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়।
বয়স ১৮ বছর না হলেও এনআইডি
প্রথম ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম এ ১৫+ সকল নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন হলেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন যখন বয়স হবে ১৮ সফটওয়ারের মাধ্যমে এই কন্ট্রোল রেখে শুরু করেছে তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম। এছাড়া অনলাইন পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ১০+ বছরের যে কোন নাগরিকরা এখনই পেতে পারেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র।
বিস্তারিত
ইতোপূর্বে কয়েকবার হালনাগাদ কার্যক্রমে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ভোটার তালিকা চুড়ান্তের আগে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান না করলেও এখন নিবন্ধনের পর বায়োমেট্রিক যাচাই সম্পন্ন হলেই দেয়া হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। নির্বাচন কমিশন তথা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নাগরিক সেবায় তাদের অনন্য ভুমিকা পালনে করোনা মহামারীর সময় হতে এই যুগান্তকারী সেবা চালু করেছে।
এতদিন আলোচনায় সিমাবদ্ধ থাকলেও এখন এটি বাস্তবে রুপ নিয়েছে। ভোটার হওয়ার বয়স হোক বা না হোক সকল নিবন্ধিত নাগরিকদের বায়েমোট্রিক ম্যাচিং সম্পন্ন হওয়ার পর ডুপ্লিকেট নয় মর্মে রিপোর্ট পেলেই পাওয়া যাবে কাঙ্খিত জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড। এর ফলে ভোটারের বয়স না হলেও বাংলাদেশের সকল নাগরিকগণ পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
এর ফলে ভোটার হওয়ার বয়স না হলেও আর অপেক্ষা করতে হবে না ভোটার হওয়ার বয়স পর্যন্ত বা চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত। এ সকল নিবন্ধিত নাগরিকগণ এনআইডি অন-লাইন সিস্টেমে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account নিজেদের একটি একাউন্ট তৈরী করে নিজ একাউন্টে লগ-ইন করে ডাউনলোড অপশনে গেলেই নিতে পারছে জাতীয় পরিচয়পত্র।
এখন আর কাউকে নির্বাচন কমিশনের মূদ্রিত কার্ড বিতরণ করার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে অনেক দূর। এছাড়া এনআইডি অনুবিভাগের তথ্য কেন্দ্রে মূল প্রাপ্তি রসিদটি জমা দিয়ে সেখান থেকেও সংগ্রহ করা যাবে মূদ্রিত কার্ডটি।
তবে এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন কমিশন তথা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সকল নাগরিককে এনআইডি কার্ড প্রদানের যে পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে ১০ বছরের নিচের নাগরিকদের পরিচয় নিবন্ধন করে এনআইডি কার্ড প্রদানের কথা বিবেচনায় রেখেছে।
এতে একদিকে নাগরিকগণ সহজেই সকল সেবা পাবেন বিড়ম্বনাহীনভাবে আবার সেবাদাতারাও নাগরিকদের সেবা দিতে স্বাচ্ছন্দ পাবেন। ফলশ্রুতিতে নাগরিক শনাক্তকরনে এবং নাগরিক সেবায় উন্মোচিত হবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।
সারকথা
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে প্রথমে এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে গিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করে তার কপি ডাউনলোড করে মূদ্রিত ফরমের ২য় পাতায় যাচাইকারীর অপশনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির (ইউনিয়ন চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলর/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের) স্বাক্ষর (সিল সহ) গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া শনাক্তকারী হিসেবে অপর একজন ভোটারের (যিনি আবেদনকারীকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন) স্বাক্ষর করাতে হবে। অতপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে বায়োমেট্রিক প্রদান করে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে।
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1728
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1751
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1694
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1769
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1702
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1836
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1692
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1618
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1838
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1651