ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সাথে দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে সব বয়সীদের মধ্যে, তবে এর সিংহভাগ ব্যবহারকারী তরুন প্রজন্ম। বেশিরভাগ মানুষ কোন কারন ছাড়াই অকাজে এবং অহেতুক সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করছে স্মার্টফোন। তরুন তরুনীদের মধ্যে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার চলছে রাত-দিন। অবসরে গল্পের বই পড়া এখন আর চোখে পড়ে না সহসা।
ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ, ইমো, ইউটিউবসহ আরো বিভিন্ন জনপ্রিয় এ্যাপস কেড়ে নিচ্ছে কোটি কোটি তরুন তরুনীর রাতের ঘুম। সাধারণভাবে মানুষ রাতে ঘুমায়, দিনে কাজ করে। কিন্তু এক শ্রেণির তরুন প্রজন্ম এখন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ হয়ে থেকে নির্ঘুম রাত কাটায় আর দুপুর অবধি ঘুমিয়ে কাটায়।
এমনিতে সারাক্ষণ ফোনের স্ক্রিনে চোখ আটকে থাকাসহ পড়া কিংবা অন্য কাজের মাঝে বার বার ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকায় এবং কোন লাইক, কমেন্ট, নোটিফিকেশন বা রিপ্লাই আছে কিনা তা চেক করে গড়ে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে ১ বার।
অতি মাত্রায় স্মার্টফোন আসক্তির কারনে বাড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর মত সময় করতে পারছেনা এরা, ফলে দূরত্ব বাড়ছে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাঝে।নিজ বাসা কিংবা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনেকের মাঝে এবং এক জায়গায় থেকেও যেন আছে যোজন যোজন দূরে। অনেক ক্ষেত্রে এর প্রভাবে দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সামাজিক আপরাধ ঘটছে । এর প্রভাব এতটাই তীব্র যা মাদকের থেকে বেশী বইকি কম নয় কোন অংশে।
Comments are closed.