ফিটনেস সার্টিফিকেট নবায়ন
যাদের গাড়ী রয়েছে (ব্যক্তিগত বা দাপ্তরিত বা বানিজ্যিক ভাবে পরিচালিত) প্রতিবছর সেই গাড়িটির ফিটনেস সনদ নবায়ন বা হালনাগাদ করার প্রয়োজন হয়। ২০২০ সাল হতে ২ বছর মেয়াদী ফিটনেস সনদ প্রদান করা হচ্ছে। ফিননেস সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই করে নেয়া প্রয়োজন এর হালনাগাদ এবং গ্রহণ করা উচিত নবায়নকৃত ফিটনেস সনদটি। তা না হলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যে কোন সময় ট্রাফিক এর হাতে পড়লে আইনানুযায়ী গুনতে হবে জরিমানা বা দন্ড। গাড়ীর ফিটনেট সনদ পেতে প্রথমেই গাড়ী নিয়ে হাজির হতে হয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা সংক্ষেপে বিআরটিএ নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে। যেখান থেকে মোটরযান এর রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সার্কেল অফিসে ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নির্ধারিত ফি প্রদানের রশিদসহ মোটরযানের ফিটনেস নবায়নের জন্য আবেদন করতে হয়। মোটরযানটি পরিদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করলে মোটরযান পরিদর্শক গাড়ীটি পরীক্ষা করে ফিটনেস সনদ প্রদান করবেন।
তবে বর্তমানে বিআরটিএ সেবা অনলাইন ভিত্তিক করায় বিআরটিএ এর ই-সেবা হতে অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট করে যে কোন স্থানের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ী মিরপুরস্থ ঢাকা মেট্টো সার্কেল-১ (বাংলাদেশ সচিবালয়সহ), ইকুরিয়াস্থ ঢাকা মেট্টো সার্কেল-২, উত্তরা দিয়াবাড়িস্থ ঢাকা মেট্টো সার্কেল-৩ এবং ঢাকা জেলা সার্কেল হতে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নির্ধারিত সময়ে মোটরযান হাজির করে ফিটনেস নবায়ন সনদ গ্রহণ করা যাচ্ছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রক্রিয়ার জন্য http://brta.portal.gov.bd/sites/default/files/files/brta.portal.gov.bd/npfblock//2020-12-29-13-32-c023d290f56b875b3f48b20d51c61e91.png লিংকে ক্লিক করে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
মোটরযান বা গাড়ীর ফিটনেস সনদ প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন হবে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্রের-
১। নির্ধারিত ফরমে পূরণকৃত ও স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র (ফরম সি, এফ,এ/সি,এফ,আর,এ) ২। প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের রশিদ ৩। ফিটনেস সার্টিফিকেটের মূল কপি ৪। হালনাগাদ ট্যাক্স টোকেন এর সত্যায়িত ফটোকপি ৫। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন বা TIN সনদ এর সত্যায়িত কপি ৬। অনুমিত অগ্রীম আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র (গাড়ীর জন্য প্রযোজ্য অগ্রীম আয়কর) বা কর জমার রশিদ।
প্রয়োজনীয় ফি:
ফিটনেস নবায়নের জন্য হালকা যানের ক্ষেত্রে মূল ফি ৪৫০টাকা এর সাথে ১৫% ভ্যাট ও আয়কর জমা দিতে হয়। তবে ফিটনেস করানোর সময় একই সাথে অগ্রীম আয়কর জমা দিতে হয়। অগ্রীম প্রদত্ত আয়কর যা নিয়মিত আয়করের সাথে সমন্বয়যোগ্য। গাড়ীর ধরন ও সিসিভেদে প্রযোজ্য অগ্রীম আয়কর হার নিম্নরুপ-
| গাড়ীর ধরণ | প্রদেয় আয়করের হার | |
| (ক) | ১৫০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ২৫,০০০.০০ |
| (খ) | ২০০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ৫০,০০০.০০ |
| (গ) | ২৫০০ সিসির উপরে প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ৭৫,০০০.০০ |
| (ঘ) | ৩০০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ১,২৫,০০০.০০ |
| (ঙ) | ৩৫০০ সিসির উপরে প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ১,৭৫,০০০.০০ |
| (চ) | ৩৫০০ সিসির উপরে প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য | টাকা ২,০০,০০০.০০ |
| (জ) | মাইক্রোবাস প্রতিটির জন্য | টাকা ৩০,০০০.০০ |
২০২০-২০২১ সালের জন্য প্রজোয্য অগ্রীম আয়কর সংক্রান্ত সরকারী গেজেট
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1799
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1617
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1748
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1692
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1827
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1724
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1717
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1753
https://t.me/s/Official_1xbet_1xbet/1812
https://t.me/Official_1xbet_1xbet/1618