গাড়ী চালানোর সময় অনেকের মধ্যে ওভার কনফিডেন্স লক্ষ্য করা যায়। নি:সন্দেহে তারা ভালো এবং দক্ষ ড্রাইভার, তবে ভাবা প্রয়োজন রাস্তার অন্য সকল চালকগন কিন্তু আপনার মত দক্ষ নাও হতে পারে। অনেকেই কিন্তু এখনও শিক্ষানবীশকাল পেরোতে পারেনি। কেউবা থাকতে পারে একেবারেই কাঁচা, যে কেবল হাত পাকাতে শুরু করেছে।
আপনি যদি শুধু নিজের কথা চিন্তা করেন এবং নিজের কনফিডেন্স এর ওপর ভর করে গাড়ী চালানোর সময় ভাবেন, অন্য সকল ড্রাইভারও আপনাকে সুনিপুন এবং সুক্ষভাবে আপনাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন। তবেই ভুল করে বসলেন! কারণ অপর গাড়ীর ড্রাইভার আপনার মত এতটা কৌশল হয়তো এখনও রপ্ত করতে পারেনি। তাই অন্যরা এক্সপার্ট নাও হতে পারে এই ভেবে আপনি গাড়ী চালান সাবধানে। মনে করুন সে হতে পারে একেবারেই অদক্ষ বা অপরিপক্ক হাতের শিক্ষানবীশ ড্রাইভার। তাই দুজনের বাঁচার কৌশল নিয়ে আপনাকেই গাড়ী চালাতে হবে সাবধানে এবং অন্যের কথা মাথায় রেখে।
গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখাই মূল কৌশল হতে পারে বেশীরভাগ দূর্ঘটনা থেকে বাচাঁর জন্য। গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রনে থাকলে পার পাওয়া যাবে বেশীরভাগ দূর্ঘটনা থেকে। গাড়ীর গতি সীমিত রাখতে পারলে বা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে না পারলে সেটাই হবে দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অনেকে বলে আপনি গতিকে মারুন না হয়, গতি আপনাকে মারবে। কোথাও কোথাও লেখা দেখা যায় “যত গতি তত ক্ষতি” ” একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না” গতি কমাও জীবন যাচাও” “একেবারে না পৌঁছানোর চেয়ে দেরীতে পৌঁছানো ভালো”।
সত্যিই একটা দূর্ঘটনার কারণে আপনার পরিবারের হবে অপূরণীয় ক্ষতি, তারা হবে নিশ্ব। আপনার সন্তান হবে এতিম, সারা জীবন কাঁদতে হবে তাদের, তাই তাদের কথা ভেবে নিয়ন্ত্রনযোগ্য সীমার মধ্যে থেকে সাবধানে গাড়ী চালান কারণ একটু পরে পৌছলে জীবন নাশ হ্ওয়ার চেয়ে বেশী ক্ষতি নিশ্বয়ই হবে না।
Comments are closed.