ঘরে বসে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড

  • প্রেক্ষাপট

ব্যাংকিং প্রয়োজন, চাকরীর আবেদন, বিবাহ-তালাক, স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়/হাসপাতালে ভর্তি, বেতন/পেনশন ফিক্সেশন, পাসপোর্ট এর আবেদন, ভিসা প্রাপ্তি, ট্রেন এর টিকেট প্রাপ্তি, সরকারী অনুদান/ভাতা প্রাপ্তি, টিকা গ্রহণ সর্বত্রই প্রয়োজন এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র।

এজন্য এনআইডি কার্ড প্রাপ্তির জন্য এখন নির্বাচন অফিসে না গিয়ে এনআইডি পোর্টাল হতে নতুন/হারানো/স্থানান্তরিত/সংশোধিত কার্ড ডাউনলোড করে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য শুধু প্রয়োজন এর পদ্ধতি জানা।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লোগো - Bangladesh Election Commission Logo Png,  Transparent Png - 1024x1024(#436849) - PngFind

পদ্ধতি

কয়েকটি সহজ ধাপে নিজেই তৈরী করে নেয়া যায় এনআইডি পোর্টালের ইউজার একাউন্ট। এনআইডি অনলাইন সিস্টেমে রেজিস্ট্রার করতে https://services.nidw.gov.bd/ লিংকে গিয়ে কয়েকটি সহজ ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ এবং ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি নির্দেশিত বক্সে লিখে “সাবমিট” বাটন ক্লিক করতে হবে। অতপর আরেকটি পেজ আসবে যেখানে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা এবং উপজেলার নাম সঠিকভাবে (যেটি ডাটা বেইজে বিদ্যমান) সিলেক্ট করে দিয়ে “পরবর্তী” বাটন চাপ দিলে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে একটি OTP বা কোড পাঠাতে “বার্তা পাঠান” অপশন দিবে আর যদি মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করতে চান তবে সেটির জন্য “মোবাইল পরিবর্তন” বাটনে চাপ দিলে নতুন মোবাইল নম্বর প্রদানের অপশন দিবে। “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করলে মোবাইলে একটি কোড যাবে যা প্রদান করে বহাল নামের বাটনে চাপ দিতে হবে। এই ধাপটি শেষ হলে একটি কিউআর কোড আসবে এবং তা স্ক্যান করার জন্য “এনআইডি ওয়ালেট” নামে একটি এ্যাপস মোবাইলে ডাউনলোড করে নিয়ে তা দ্বারা কোডটি স্ক্যান করতে হবে। এরপর এনআইডি ওয়ালেট এ্যাপস হতে আবেদনকারী ব্যক্তির মুখের দিকে ধরে বাম-ডান দিকে ঘোরাতে হবে। সফলভাবে ফেস স্ক্যান হলে একাউন্ট রেজিস্ট্রার সম্পন্ন হবে এবং এনআইডি পোর্টাল একাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড সেট করার অপশন আসবে। পাসওয়ার্ড সেট করলে পরবর্তী  লগইন এ এত ধাপ পেরোতে হবে না শুধু  ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এবং ফেস রিকগনিশন করলেই হবে অন্যথায় পুরো প্রক্রিয়াটি প্রতিবার নতুনভাবে করতে হবে। পাসওয়ার্ড সেট করলে বা না করে তা এড়িয়ে গেলে “এড়িয়ে যান” বাটনটি ক্লিক করলে প্রোফাইল চলে আসবে। প্রথমে লগইন আবস্থায় “হোম”  মেন্যু থাকবে যেখানে “প্রোফাইল”, “রি-ইস্যু”, “পাসওয়ার্ড পরিবর্তন”, “স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস” ও “ডাউনলোড” অপশন থাকবে। এছাড়া নিবন্ধনকারীর ছবিসহ তার নাম, এনআইডি নম্বর, ঠিকানা, ভোটার এলাকার তথ্য এর নিচে “বিস্তারিত প্রোফাইল” নামে আরেকটি বাটন থাকবে যেখানে ক্লিক করে বিস্তারিত প্রোফাইল দেখা যাবে।

নতুন/হারানো বা নষ্ট/স্থানান্তরিত/সংশোধিত কার্ড প্রাপ্তিঃ

যারা ভোটার হয়েছেন/এনআইডি কার্ড পেতে পরিচয় নিবন্ধন করেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি বা কার্ড রি-ইস্যু/সংশোধনের আবেদন করেছেন এবং আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে মর্মে মেসেজ পেয়েছেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিমর্জিত  কপি অনলাইনে পেতে এনআইডি পোর্টালে লগইন করে  “ডাউনলোড” অপশন হতে আপনার পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

তবে নতুন নিবন্ধিতদের এনআইডি কপি প্রথম বার ডাউনলোড এর ক্ষেত্রে ফি প্রযোজ্য হবে না। তবে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড করা যাবে না। এমনকি আপনি ডাইনলোড না করলে আপনার সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে এটি প্রিন্ট করা হলেও এটি আর আপনার পোর্টাল হতে ডাইনলোড করা যাবে না। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে কার্ডটি সংগ্রহ করতে হতে পারে। কার্ড রি-ইস্যু বা সংশোধনের আবেদন অনুমোদন পরবর্তী সময়ে কার্ড নেয়ার পদ্ধতিও অনুরুপ।

এজন্য উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস হতে কার্ড সংগ্রহ না করে নিজেই কার্ডটি এনআইডি পোর্টাল হতে ডাউনলোড করে নিতে চাইলে আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর কিবং নতুন নিবন্ধিতদের এনআইডি সম্বরীত মেসেজ প্রাপ্তির পর যথাসম্ভব দ্রুত কার্ড ডাউনলোড করে নেয়া উচিত। ডাউনলোডকৃত পিডিএফ কপিটি সেভ করে কোন জায়গায় রেখে দিলে পরবর্তীতে এটি হতে আবার কার্ড প্রিন্ট নেয়ার সুযোগ থাকবে। 

ডাউলোডকৃত পিডিএফ কপিটি কালার প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করে দুপাশ উল্টোদিক ভাজ করে আইডি কার্ড সাইজের লেমিনেটিং পাউচ-এ ঢুকিয়ে লেমিনেট করে নিলেই হয়ে যাবে অরিজিনাল এনআইডি কার্ড। এভাবেই এনআইডি অফিস হতে আপনাকে অরিজিনাল কার্ড তৈরী করে দিত যা এখন আপনি নিজে ঘরে বসেই করতে পারেন। আর নাগরিকদের নির্ধারিত অফিসে উপস্থিত হওয়ার কষ্ট লাঘবে এবং সরকারের অর্থ সাশ্রয় করতে নির্বাচন কমিশন এখন অফিস হতে কার্ড মূদ্রণ অনেকটা সীমিত করে দিয়েছে। এছাড়া করোনার কারনে অনলাইন পোর্টাল হতে নিজের কার্ড নিজেই ডাউনলোড করে নেয়া সবচেয়ে নিরাপদ।