জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষর পরিবর্তন

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লোগো - Bangladesh Election Commission Logo Png,  Transparent Png - 1024x1024(#436849) - PngFind

প্রেক্ষাপট

২০০৭-০৮ সালে যখন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য প্রথম যখন নিবন্ধন ও ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হয় তখন সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কামেরা দিয়ে স্বাক্ষরের ছবি তুলে তা স্বাক্ষর হিসেবে সেভ করা হতো। এই পদ্ধতিতে স্বাক্ষর নিতে অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে কখনও কখনও একজনের স্বাক্ষরের ছবি অন্যজনের স্বাক্ষর হিসেবে যুক্ত হয়ে যেত। এমন ভ্রান্তি কম হলেও একেবারে অমূলক নয়। তবে ২০১১ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত করা হয় ডিজিটাল সিগনেচার প্যাড ব্যবহার করে স্বাক্ষর গ্রহণের কাজ।

স্বাক্ষর বা সই কি তা অনেক অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত ব্যক্তিদের বোঝানোর প্রয়োজন হয়। এটি সহজে বোঝানোর জন্য অপারেটররা স্বাক্ষর না বলে নাম লিখতে বলে থাকে। ফলে অনেকেই অন্যত্র স্বাক্ষর হিসেবে নামের পরিবর্তে ইনিশিয়াল দিলেও ভোটার হওয়ার সময় অনেকে অপারেটরদের কথায় তারা নাম লিখে দিয়ে থাকে। বর্তমানে এটি কম ঘটলেও শুরুর দিকে এটি অহরহ ঘটেছে।

স্বাক্ষর পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা

  • প্রথমদিকে অনেকেই অপারেটরদের কথায় স্বাক্ষর হিসেবে নাম লিখে দিয়েছিল;
  • ভোটার নিবন্ধন বেশীরভাগ ব্যক্তিই ছাত্র জীবনে করে থাকে, আর ছাত্রাবস্থায়ই বেশীরভাগ ব্যক্তি স্বাক্ষর হিসেবে নাম লিখে থাকে;
  • চাকরীতে প্রবেশের পরে প্রায় সকলেই স্বাক্ষর হিসেবে নাম না লিখে একটি ইনিশিয়াল দেয়া শুরু করে, ফলে আগের স্বাক্ষরের সাথে অমিল থেকে যায়;
  • অনেকের স্বাক্ষর অপারেটরের অনিচ্ছাকৃত ভুলে অন্যের নামের ছবি চলে আসতে পারে;
  • অন্য ডকুমেন্টে প্রদত্ত স্বাক্ষরের সাথে অমিল থাকলে যেমন, পাসপোর্ট, ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদির সাথে মিল করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে স্বাক্ষর পরিবর্তন বা আপডেট করার;

কিভাবে করা যায় এনআইডি’র স্বাক্ষর পরিবর্তন

এজন্য আবেদনকারীকে প্রথমে জমা দিতে হবে এনআইডি সংশোধনের জন্য প্রযোজ্য ফি। এনআইডি সংশোধনের আবেদন ফি জানতে আবেদন ফি লেখাটি ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন এই সংক্রান্ত লেখাটি। অত:পর একটি আবেদন ফরম (এনআইডি সংশোধন আবেদন ফরম-২) পূরণ করে জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে। আপনি যে আওতাধীন এলাকার ভোটার সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে। সাথে জমা দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে চাহিত/পরিবর্তিত স্বাক্ষরটি আপনি কোথায় ব্যবহার করেন তার একটি কপি।

আবেদন অনুযায়ী আপনাকে স্বাক্ষর পরিবর্তনের আবেদন অনুয়ায়ী উপজেলা/থানি নির্বাচন অফিস হতে ডিজিটাল সিগনেচার প্যাডের মাধ্যমে নতুন স্বাক্ষরটি গ্রহণ করে তা পূর্বের স্বাক্ষরের স্থলাভিষিক্ত করতে আবেদনটি পাঠাবে এনআইডি এপ্লিকেশন সিস্টেমে। এনআইডি এপ্লিকেশন হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এটি অনুমোদন করলে তা এনআইডি ডাটাবেজে আপনার পূর্বের স্বাক্ষরকে নতুন প্রদত্ত স্বাক্ষর দ্বারা প্রতিস্থাপন করবে। অতপর সকলে পূর্বের স্বাক্ষরের পরিবর্তে নতুন স্বাক্ষরটি দেখতে পাবে এবং সংশোধিত এনআইডি কার্ড নতুন স্বাক্ষরসহ মুদ্রণ হবে।

স্বাক্ষর বায়োমেট্রিক এর একটি অংশ তাই এটি অনলাইনে পরিবর্তন করার সুযোগ রাখা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে আবেদন করা এবং এর সিডিউল গ্রহণের কাজটি করার সুযোগ থাকবে অনলাইন পদ্ধতিতে।

146 Replies to “জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষর পরিবর্তন”

  1. 2015 তে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছিলাম কবে নাগাত nid কার্ড পাবো?

  2. I tried changing my Name and signature from my nick name to given name. I applied at Regional Nirbachon office on January 2020. They told me to wait for the next call/sms communication. I didn’t hear back from them. After one year I went to head office and got to know that my application is under গ category and needs investigation.

    I then visited Ramna Nirbachon office and provided all the supporting documents :
    Affivad, Analog and MRP Passport, SSC, GED, Birth certificate, Marriage certificate, job experience letter and also presented 2 witness but still the application is pending. Nirbachon officer at Ramna is delaying the investigation report without any valid reason.
    The Officer named Renu is such a rude person.

    I also explained him that I am a non residential Bangladeshi and need to change because of issuing E-passport but still he doesn’t seem to understand.

    The government of Bangladesh is trying to make Bangladesh digital but the government employees are so ignorant, illetarate, doesn’t have proper knowledge about IT and system.

    1. নাম পরিবর্তন বিষয়টা খুবই সেনসেটিভ। এটি তদন্ত সাপেক্ষে অনুমোদন হয়। এটা কম অনুমোদন দেয়। আপনি আরেকটু খোজ খবর নেন। এটা প্রমান করার যা কিছু আছে তা দাখিল করাসহ ফিজিক্যাল সাক্ষাত করে বিষয়টা তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করুন যে কে আপনার পরিবর্তন প্রয়োজন। আর এটার জন্য থানা নির্বাচন অফিস তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও অনুমোদন করার ক্ষমতা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *