প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে ধাই ধাই করে উঠে পড়ছে দক্ষিন বঙ্গের সাথে ঢাকার সেতু বন্ধন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আর এর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক ঢাকা-মাওয়া এবং জাজিরা-ভাংগার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। এখন চলছে রেল সড়কের কাজ। আগামী ২০২২ সালে উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেল সড়কের কাজও চলছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতে আরো প্রায় এক বছর সময় লাগলেও এর সংযোগ সড়ক এখনই প্রস্তুত। এতে প্রায় ২০টির মতো ফ্লাইওভার দিয়ে সংযোগ দেয়া হয়েছে, ফলে কোন ক্রসিং এ আটকাতে হয়না মহা-সড়কে চলাচলকারী কোন যানবাহনকে। শোনা যাচ্ছে ২০২০ সালের জুন-জুলাই হতে এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে পরিশোধ করা লাগতে পারে টোল/মাসুল।
এর মধ্যে ভাংগার গোল চত্তরের উপর দিয়ে আকর্ষনীয় ডিজাইন এবং মাল্টিপাসিং যে ফ্লাইওভার তৈরী হয়েছে তা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন, যা এখন বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। এটি এমন অসাধারণ এক ফ্লাইওভার তৈরী হয়েছে যেখান দিয়ে সচরাচর যাতায়াত না থাকলে আগন্তুকদের অনেক সময় দিকভ্রম হতে দেখা যায়। যেখানে প্রতিদিন বিকেল বেলায় দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়।
অত্যন্ত সুন্দর লেভেলিং এর কারণে ঢাকা-মাওয়া-ভাংগা রাস্তায় গাড়ী চললে গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিও হার মানে রাস্তার মশৃনতার কাছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াতের প্রয়োজন ছাড়াও অনেকেই লং ড্রাইভে ছুটে যায়।
ভাংগা ফরিদপুর জেলার একটি উপজেলা, যা দক্ষিণ বঙ্গের কমিউনিকেশন হাব নামে বিশেষ পরিচিত। এক সময় যে ভাংগা হতে মাওয়া হয়ে ঢাকায় আসতে ৭-৮ টি ছোট-বড় ফেরী আর ভাংগা-চোরা ইটের (হেরিং বন্ডের) রাস্তা পেরিয়ে আসতে হতো। মাত্র ৫৮ কি:মি রাস্তা পার হতে সময় লাগতো ৫-৬ ঘন্টা। সরাসরি কোন বাসও ছিল না, কিছু পথ লোকাল বাস, কিছু পথ টেম্পু মাঝে-মধ্যে ফেরী পার এভাবেই পথ চলতে হতো। তাই এই পথে কম লোকই যাতায়াত করতো। অতীতে কম বয়সী ছেলে মানুষেরা ভারী ব্যাগ না থাকলে সাধারনত কম টাকায় যাতায়াতের জন্য এই পথ ব্যবহার করতো। যেখানে এখন গ্রীণ লাইন বা সোহাগ পরিবহনের বিলাশ বহুল এসি বাস চলাচলও শুরু করেছে। আগামীতে পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা-ভাংগা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা। এখনই পদ্মার এপার বা ওপাড়ে সময় লাগে মাত্র ২৫-৩০ মিনিট করে।
বর্তমানে মাওয়া ঘাটে ফেরী পার হতে সময় লাগে দেড় ঘন্টার মত (তবে বর্ষা মৌসুমে স্রোত, শীতে পানি স্বল্পতা ও কুয়াশার কারণে কখনও কখনও সময় কিছুটা বেশী লেগে থাকে)। আছে লঞ্চ, আবার আরো দ্রুত পার হওয়ার জন্য অনেকের নিকট পছন্দনীয় স্পীড বোটও রয়েছে। তবে স্পীড বোট পার হতে সময় ১৮-২০ মিনিট লাগে। স্পীড বোটে ভাড়া নেয় জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে। ভোর ৬টা হতে সন্ধা পর্যন্ত স্পীড বোট চলাচল করে। সময় কম লাগলেও অনেকে স্পীড বোটে চড়তে ভয় পায়।
ঢাকা-মাওয়া ঘাট/মাওয়া ঘাট-ঢাকা পর্যন্ত যাতায়াতে গুলিস্তান এবং যাত্রাবাড়ী টু মাওয়াঘাট লোকাল বাস সার্ভিস চালু রয়েছে যার ভাড়া জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া মাওয়া ঘাট হতে ভাংগা পর্যন্তও লোকাল বাস সার্ভিস চালু রয়েছে যার জনপ্রতি ভাড়া ৬০ টাকা।
পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থার একটি ভিডিও ক্লিপ যা ২০২০ সালের কোরবানীর ঈদের কয়েকদিন পরে ধারণ করা।
ঢাকা-মাওয়া-ভাংগার নব নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েতে ঘুরতে গেলে বিশ্বাস করাই কঠিন যে এটি বাংলাদেশের কোন মহাসড়ক। মনে হয় উন্নত কোন দেশের মহাসড়ক দিয়ে ছুটে চলছি। বাংলাদেশ মনে হলে ভাবনা জাগে এ এক নতুন বাংলাদেশ।এক্সপ্রেসওয়ের একটি ভিডিও ক্লিপ।
I am truly delighted to read this weblog posts which includes plenty of valuable information, thanks for providing such statistics. Fayth Isador Nashoma
Long time supporter, and thought I’d drop a comment.
Your wordpress site is very sleek – hope you don’t mind me asking what theme you’re using?
(and don’t mind if I steal it? :P)
I just launched my site –also built in wordpress like yours– but the
theme slows (!) the site down quite a bit.
In case you have a minute, you can find it by searching for
“royal cbd” on Google (would appreciate any
feedback) – it’s still in the works.
Keep up the good work– and hope you all take
care of yourself during the coronavirus scare!
thanks for your comments.
I don’t typically comment on posts, but as a long time reader I thought I’d drop
in and wish you all the best during these troubling times.
From all of us at Royal CBD, I hope you stay well with the COVID19 pandemic progressing
at an alarming rate.
Justin Hamilton
Royal CBD