গাড়ীর ট্যাক্স টোকেন নবায়ন/হালনাগাদ

পুরানা কাসুন্দী

এক সময় ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ছিল মহা ঝক্কির এক কাজ। গাড়ীর সকল কাগজ-পত্র নিয়ে প্রথমে যেতে হতো বিআরটিএ’র সার্কেল অফিসে, সার্কেল অফিস থেকে ফি জমার রশিদে ফি এর পরিমাণ লিখিয়ে নিয়ে যেতে হতো নির্ধারিত ডাকঘরে। ডাকঘরে ফি জমা দিয়ে অতপর ফি জমার রশিদ ও গাড়ীর সকল মূল কাগজপত্রসহ যেতে হতো বিআরটিএ এর সার্কেল অফিসে। উভয় জায়গায় দিতে হতো লম্বা লাইন পাড়ি। অতপর সব ঠিকঠাক থাকলে মিলতো নবায়নকৃত ট্যাক্স টোকেন। বিরক্তিকর এ কাজটি করতে হতো প্রতি বছর। এর উপর যদি মেয়াদ পার হয়ে যেত তাহলে আবার ছিল আরো ঝক্কি ছিলো। সেক্ষেত্রে জরিমানাসহ মোট টাকার পরিমাণ লিখিয়ে নিয়ে যেতে হতো। তা না হলে নিস্তার মিলতো না কিছুতেই।

ডিজিটালাইজেশন ও এর সুফল

গত কয়েক বছর আগে ডাকঘর কেন্দ্রীক এই ট্যাক্স টোকেন নবায়ন সিস্টেমে আমুল পরিবর্তন এনে পুরোপুরি অটোমেশনে যায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন পদ্ধতি। ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে এখন আর বিআরটিএ অফিসেও যেতে হয় না। ট্যাক্স টোকেনের বিদ্যমান মূল কপি ও প্রয়োজনীয় ফি নিধারিত ব্যংকের বুথে জমা দিলে মুহুর্তের মধ্যেই ব্যাংকের শাখা থেকেই নবায়নকৃত ট্যাক্স টোকেন কপি পাওয়া যায়। অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে https://www.ipaybrta.cnsbd.com/ লিংক হতে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও প্রদান করা যায় বিআরটিএ’র ফি। তবে এজন্য ইউজার হিসেবে সাইন আপ করতে হবে প্রথমে। এর পর লগইন করে পরিশোধ করা যাবে যে কোন প্রকার ভেহিকেবল ফি।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে গুনতে হবে কিছু টাকা জরিমানা। ব্যাংকই জানিয়ে দিবে জরিমানাসহ একত্রে মোট টাকার পরিমাণ। ফি জমা দিয়ে পাওয়া যাবে ট্যাক্স টোকেনের হালনাগাদকৃত নতুন কপি।

ফী’র পরিমাণ

ব্যক্তিগত গাড়ী যার আসন সংখ্যা (চালক ব্যতীত) ৪ এর মধ্যে তার জন্য ফি ৫,০০০/- টাকা +১৫% ভ্যাট জমা দিতে হবে।

ফী জমার ব্যবস্থা

ফি জমার সময় সাথে জমা দিতে হবে সর্বশেষ ট্যাক্স টোকেনের মূল কপি এবং লিখে দিতে হবে মোবাইল নম্বর। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের (NRBC) বিআরটিএ বুথ অথবা বিভিন্ন শাখা হতে এবং আরো কয়েকটি ব্যাংকের শাখা থেকে গাড়ীর ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায়।

ফি জমা নেয়া ব্যাংকের তালিকা সমুহ।

শেষ কথা

গাড়ীর ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য নেই কোন ফরম পূরণের ঝামেলা। এখানেই শেষ ট্যাক্স টোকেন নবায়ন এর সকল ধাপ। আর যেতে হবে না বিআরটিএর অফিসে। প্রয়োজন হবে না বিআরটিএ’র কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর বা অথেনটিকেশন।